সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ADS

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য/ভাষণ ২০২৩। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য/ভাষণ ২০২৩। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যভাষণ ২০২৩। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য।
জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩

    প্রিয় পাঠক, ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আজ আমরা জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য- ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি এই পোস্টে জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

    জাতীয় শোক দিবসের ইতিহাস 

    বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সাহসী কৃতিত্বের জন্য তাকে জাতির জনক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে পাকাহানাদার বাহিনীর কবল থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি করার জন্য তিনি যে বিষেশ ভূমিকা পালন করেছেন তা বিশ্বের কাছে পরিলক্ষিত। ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় সোনা অক্ষরে লিখিত তার এই কৃতিত্বের ইতিহাস। কিন্তু এই মহান নেতাকে অকালে মৃত্যু বরণ করতে হয় বিশ্বাসঘাতক বিপথগামী সেনাসদস্য অতর্কিত আক্রমণে। আজকের পোস্টে আমরা সেই ভয়াবহ দিনটি সম্পর্কে জানবো।

    ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িতে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট রাতে একবুক স্বপ্ন নিয়ে স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিলেন জাতির জনক। হঠাৎ মধ্যে রাতে ততকালীন বিপথগামী কিছু সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। যার ফলে নিহত হোন জাতির জনক ও তার পরিবারের ১৬ জন সদস্য।

    ছেলে শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল। পুত্রবধু রোজী কামাল ও সুলতানা কামাল এবং  ভাই শেখ আবু নাসের, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন ঘাতকের আগাতে নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ রেহানা ও তার বড়বোন শেখ হাসিনা।

    কিন্তু নিমিষে ধ্বংস হয়ে যায় একটা গোটা পরিবার। ঐ রাতটি ছিল বাঙ্গালীর জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃক্ষজনক ও ভয়াবহ রাত্রি।

    যেই দিনটির কথা আজও ভুলতে পারিনি বাংলার মানুষ। এই দিনটিকে স্বরণ করে রাখার জন্য প্রতিবছর ১৫ আগস্ট পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস। এই দিনে জাতীয় পতাকাকে অর্ধনমিত অবস্থায় রাখা হয় এবং সারা দেশে কালো পতাকা উত্তলন ও বঙ্গবন্ধুর পবিত্র কবরস্থানে ফুল দিয়ে এই দিনটি পালিত হয়।


    জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় কবে?

    এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে বাংলাদেশের প্রায় সবাই জানে ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তার নিজ বাড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির কলঙ্কময় দিন। 


    জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়?

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগোস্ট বাঙালি জাতির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নিজ বাস ভবনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের সর্বস্ততরের মানুষ গভীর শ্রদ্ধাভরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে স্মরণ করে। তাই ১৫ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। 


    ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যঃ 

    প্রতিটা ভাষণের শুরুতে মঞ্চে উপবিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্বোধন করে কিছু কথা বলতে হয় তাই এখন আমরা দেখব কি করে তাদের সম্বোধন করে কথা বলবেন এবং ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাষণ প্রদান করবেন।

    ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি, শ্রোতা মন্ডলী, অভিভাবকবৃন্দ এবং সম্মানিত সভাপতি ও সহপাঠী বন্ধুবৃন্দ আস্সালামু আলাইকুম। আজকের আনুষ্ঠান কোন আনন্দের অনুষ্ঠান নয় বা কোন ব্যান্ডপার্টি নয়। আজকের অনুষ্ঠান বেদনাদায়ক, ভারাক্রান্ত হৃদয় ও কষ্টেন দিন।

     

    এই দিনে আমাদের জাতীর জনক সহ তার সপরিবার বর্গকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট ততকালীন বিপথগামী শত্রুদের আতর্কিত আক্রমণে প্রাণ হারায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৬ জন সদস্য। সেই ভয়াবহ রাতকে বারবার স্বরণ করিয়ে দেয় আজকের এই দিনটি।

    প্রিয় সুধী, 

    বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। আপনারা জানেন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গনন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা হানাদারদের বিরুদ্ধে জীবনপণ সংগ্রাম করে বিশ্বের বুকে স্বাধীন- সার্বভৌম বাংলাদেশের সগৌরব উত্তরণ ঘটিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের যে আহব্বান জানানো হয়েছিল তাতে সাড়া দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বীর জাতি বাঙালি বিশ্বের বুকে অনন্য ইতিহাসের সৃষ্টি করেছে।  

    সুধীবৃন্দ,

    আজকে শোক দিবস পালনের অর্থ বঙ্গবন্ধুর জন্য বেদনার অশ্রুপাত নয়। তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সফল করে তুলতে পারলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে। দীর্ঘ দিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবার জাতির শোককে শক্তিতে রুপারন্তরিত করে জাতিকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

    আজকের এই দিনে সকল বাঙ্গালীর হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি সেই মহান নেতা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি। এবং তাদের বিদায়ী আত্মার মাগফেরাতে দোয়া করছি মহান রবের কাছে। এই বলে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

     

    শোক দিবস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলীঃ 

    বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাবোর্ডে প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন থাকে। যেগুলোর উত্তর জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ

     

    ১। ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের কতজন সদস্য নিহত হয়?

    উত্তরঃ ১৬ জন।

     

    ২। কত তারিখে জাতীয় শোক দিবসে উদযাপন করা হয়?

    উত্তরঃ ১৫ ই আগস্ট।

     

    ৩ । কত সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৬ জন সদস্য প্রাণ হারায়?

    উত্তরঃ ১৯৭৫ সাল।

     

    ৪। শেখ রাসেল কখন মৃত্যু বরণ করেন?

    উত্তরঃ ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সাল।

     

    ৫। ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায় বলা হয় কোন দিনটিকে?

    উত্তরঃ ১৫ ই আগস্ট। 

     

    শেষ কথা, জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য এখানে আলোচনা করা হলো। আশা করি যারা জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য খুজতেছিলেন তাদের উপকার হবে। 

    এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই ধরনের তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়িমিত ভিজিট করুন। 



    Tag: 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা,জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, জাতীয় শোক দিবস, জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য pdf, জাতীয় শোক দিবসের রচনা। 

    Post a Comment

    0 Comments